ঢাকা,  সোমবার
০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

Advertisement
Advertisement

আগুন লাগার পর কেমিক্যাল ধোঁয়ায় মিশে গেছে, ক্ষতি হতে পারে ফুসফুস-হার্ট-ত্বকের

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ২০:১০, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

আগুন লাগার পর কেমিক্যাল ধোঁয়ায় মিশে গেছে, ক্ষতি হতে পারে ফুসফুস-হার্ট-ত্বকের

কেমিক্যাল গোদাম

রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে কেমিক্যাল গুদামের আগুন এখনও পুরোপুরি নেভানো যায়নি, ধোঁয়া উড়ছে। মানবদেহের জন্য বিষাক্ত গ্যাস ও ক্লোরিন গ্যাস ধোঁয়ার সঙ্গে বাতাসে মিশে গেছে। যা মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস, ফুসফুস, হার্ট ও ত্বকের সমস্যা হতে পারে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে আগুনের ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গোডাউনে থাকা বিভিন্ন কেমিক্যালের ধোঁয়া থেকে টক্সিক গ্যাস তৈরি হয়ে বাতাসের সঙ্গে মিশে গেছে। এছাড়া ক্লোরিন গ্যাস ছড়িয়েছে; যা মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস, ফুসফুস, হার্ট ও ত্বকের সমস্যা হতে পারে। যা ঘনবসতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম চলমান উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে কেমিক্যাল রয়েছে তা অপারেশন করতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। বুয়েট থেকে আজ বিকেলে একটি বিশেষজ্ঞ টিম আসবে, তারা দেখে সে বিষয়ে পরামর্শ দেবেন। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গার্মেন্টসের আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে কিন্তু কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লাগবে। কেমিক্যাল গোডাউনের ভেতরে এখনও প্রচুর সাদা ধোঁয়া আছে।

কেমিক্যালের আগুন বিপজ্জনক উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী গুদামজাত না করা হলে কেমিক্যাল একসঙ্গে হয়ে বড় ধরনের বিস্ফোরণ-বিক্রিয়া হতে পারে। যে কারণে এখানে সময় লাগছে।

কোনো মরদেহ আছে কি না জানতে চাইলে কাজী নজমুজ্জামান বলেন, পুরোপুরি অগ্নি নির্বাপণের পর বলা যাবে আর কোনো মরদেহ আছে কি না।

কেমিক্যাল গোডাউনের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না ফায়ার সার্ভিসের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মালিকের খোঁজ আমরা এখনও পায়নি। তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে শিয়ালবাড়িতে পোশাক কারখানা ও কসমিক ফার্মা নামের রাসায়নিক গুদামে আগুনের খবর আসে ফায়ার সার্ভিসের কাছে।

পরে বেলা ১১টা ৫৬ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রথমে পাঁচটি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে আরও সাত ইউনিট যোগ দেয় আগুন নিয়ন্ত্রণে।

এরপর পোশাক কারখানার দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ভবনের নিচতলায় আগুনের তীব্রতা থাকায় এবং ছাদে ওঠার দরজা দুটি তালা দিয়ে বন্ধ থাকায় অনেকেই ভবন থেকে বের হতে পারেননি। ফলে ওই ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আটকে আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন তারা।

Advertisement
Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/dikdorshon/public_html/details.php on line 531