তরমুজ বহু পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সুস্বাদু ও রসালো ফল। গ্রীষ্মের এই সময়ে রোজা রাখায় শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দিতে পারে।তরমুজ স্বাভাবিকভাবেই শরীর ঠান্ডা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই রমজানে ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই ইফতারে তরমুজ রাখেন। মিষ্টি স্বাদের এই ফলটিতে পানি ছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্ডোহাইড্রেট ও আয়রন।
পানির ঘাটতি দূর করে
গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। রোজায় সেই ঘাটতি দিনের বেলা মেটানো সম্ভব হয় না। এমন অবস্থায় ইফতারে রাখতে পারেন তরমুজ। এতে শরীর তো ঠান্ডা হবেই, সেইসঙ্গে শরীরে ঘাটতিও মিটবে। তবে খেয়াল রাখবেন, তরমুজ কিন্তু পানির বিকল্প নয়। তাই ইফতারের পর পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
হার্ট ভালো রাখবে
তরমুজে থাকে সাইট্রুলাইন নামক বিশেষ এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই অ্যামাইনো অ্যাসিড স্বাভাবিক রক্ত সংবহণে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে কমায় ব্লাড প্রেশার। যে কারণে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে। সেইসঙ্গে তরমুজে থাকে লাইকোপেন। এই উপাদান হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমাতে কাজ করে এমনটাই উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়। তরমুজ খাওয়ার পাশাপাশি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট না খাওয়া, ধূমপান বন্ধ করার মতো ভালো অভ্যাসও গড়তে হবে। এতে হার্ট ভালো থাকবে।
জয়েন্ট ভালো রাখে
তরমুজে থাকে বিটা ক্রিপটোজ্যানথিন নামক একটি প্রাকৃতিক পিগমেন্ট। এই উপাদান অস্থিসন্ধির প্রদাহ দূর করতে কাজ করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই উপাদান রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে কাজ করে। যারা জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছেন, তারা এই ফল নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন। তরমুজ জুস করে খেলেও উপকার পাবেন।
চোখ ভালো রাখে
চোখ ভালো রাখতে কাজ করে তরমুজ। তরমুজের একটি বড় টুকরা খেলে দৈনিক চাহিদার প্রায় ৯-১১ শতাংশ ভিটামিন এ পাওয়া যাবে। চোখের বিভিন্ন সমস্যা সারাতে এই ভিটামিন ভীষণ কার্যকরী। সেইসঙ্গে তরমুজে থাকে খনিজও। যে কারণে চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এটি বড় ভূমিকা রাখে। তাই ইফতারের আয়োজনে তরমুজ পাতে রাখুন।
ত্বক ভালো রাখে
ত্বক ভালো রাখার কাজেও সাহায্য করে তরমুজ। রসালো এই ফলে আছে ভিটামিন এ, বি৬, সি। এই ভিটামিনগুলো ত্বককে মসৃণ করতে সাহায্য করে। তাই ইফতারের থালায় তরমুজ রাখুন। এছাড়া তরমুজ দিয়ে তৈরি প্যাকও মুখে ব্যবহার করতে পারবেন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।