
ভারত-পাকিস্তান
কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে সামরিক অভিযান চালায় ভারত। এর প্রতিক্রিয়ায় শনিবার পাকিস্তান শুরু করেছে পাল্টা সামরিক অভিযান, যার নাম রাখা হয়েছে—‘বুনিয়ান-উন-মারসুস’। কোরআন শরীফের সূরা আছ-ছফ থেকে নেওয়া এই শব্দগুচ্ছের অর্থ—‘গলিত সীসা দিয়ে নির্মিত প্রাচীর’, যা একতা ও অটলতার প্রতীক।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে ভারত বুধবার অভিযান শুরু করে। দিল্লি জানায়, ‘সিঁদুর’ নামটি দেওয়া হয়েছে নিহতদের স্ত্রীদের স্মরণে, যাদের সামনে তাদের স্বামীদের হত্যা করা হয়। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, স্বামীর মৃত্যুর পর নারীদের সিঁদুর পরার অধিকার থাকে না—এই ব্যথা থেকেই নামকরণ।
ভারতের এই অভিযানের জবাবে শনিবার পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ভারতের তিনটি বিমানঘাঁটির দিকে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদ জানায়, তাদের সামরিক বাহিনী ভারতের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনাকে টার্গেট করে জবাব দিচ্ছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভি ও প্রোপাকিস্তানি জানায়, ‘বুনিয়ান-উন-মারসুস’ নামটি কেবল একটি অভিযানের শিরোনাম নয়, বরং এটি পাকিস্তানের ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় জবাবের প্রতিচ্ছবি। ইসলামাবাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ভারতের ‘কাপুরুষোচিত’ হামলায় যারা শাহাদাত বরণ করেছে, বিশেষ করে শিশুরা—তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই শুরু হয়েছে এই প্রতিরোধ।
ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের আগে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, পাকিস্তানি সেনারা নিহত শিশুদের নামসহ ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। এই প্রতীকী বার্তার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান বোঝাতে চেয়েছে, তারা দুর্বল নয়, বরং শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধভাবে জবাব দিতে প্রস্তুত।
পাল্টাপাল্টি এ সামরিক অভিযানে দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতির দ্রুত শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে।