ঢাকা,  শুক্রবার
০২ জুন ২০২৩

Advertisement

২৫ হাজার টাকার এক আমের চাষ পদ্ধতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:০৩, ১১ মে ২০২৩

আপডেট: ১৮:১৯, ১২ মে ২০২৩

২৫ হাজার টাকার এক আমের চাষ পদ্ধতি

বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমটির প্রথম উৎপাদন শুরু হয় জাপানে। এই আম বর্তমানে কয়েকটি দেশে উৎপাদনের চেষ্টা চালাচ্ছেন কৃষিবিদরা। বাংলাদেশও এর উৎপাদন সম্ভব, অনেকে চেষ্টাও করছেন। তবে পুরোপুরি মান ধরে রাখতে পারছেন না; সেই চেষ্টাও চলছে গবেষণায়।

জাপানের যে  চাষি তার খামারে এই উৎপাদন করেন তিনি প্রথমে বুঝতে পারেননি বিষয়টি। ঘটনা ২০১৪ সালের। দেশটির হোক্কাইদো দ্বীপের ওতোফুকের বাসিন্দা হিরোইউকি নাকাগাওয়া। কুয়াশাচ্ছন্ন গ্রিনহাউসের ভেতরে পাকা আম তুলছিলেন তিনি রফতানির উদ্দেশ্যে। ডিসেম্বরের জাপানে বাইরে তাপমাত্রা তখন মাইনাস ৮ ডিগ্রি। তবে গ্রিনহাউসের ভেতরে ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নাকাগাওয়া ২০১১ সাল থেকে জাপানের সবচেয়ে উত্তরের দ্বীপের তুষারময় অঞ্চল টোকাচতে আম চাষ করে আসছেন। টেকসই আম চাষাবাদের পরীক্ষামূলক হিসেবে এটি শুরু করেন। নাকাগাওয়া কখনই ভাবেননি এই পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা একদিন বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম উৎপাদন করবে। এখন তিনি এসব আম প্রতি পিস ২৩০ ডলার বিক্রি করেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ হাজার টাকা।

৬২ বছর বয়সী নাকাগাওয়ার আগে একটি পেট্রোলিয়াম কোম্পানি ছিল। তিনি বলেন, ‘প্রথমে কেউ আমাকে গুরুত্ব দেয়নি। এই কনকনে ঠান্ডা প্রকৃতির হোক্কাইদো থেকে আমি গরমের ফল আম চাষ করতে চেয়েছিলাম।’

নাকাগাওয়ার রহস্য হলো তার মাতৃভূমি হোক্কাইদোর দুটি প্রাকৃতিক উপাদানকে চাষাবাদে ব্যবহার করা। তিনি শীতকালে তুষার সঞ্চয় করেন এবং গ্রীষ্মকালে এসব গ্রিনহাউসকে ঠান্ডা করতে ব্যবহার করেন। এতে আমগাছে মুকুল আসতে বিলম্ব হয়। তারপর শীতকালে তিনি গ্রিনহাউস গরম করার জন্য প্রাকৃতিক উষ্ণ প্রস্রবণ ব্যবহার করেন এবং অসময়ে প্রায় ৫ হাজার আম সংগ্রহ করেন। নাকাগাওয়ার দাবি, এই আমে সাধারণ আমের তুলনায় প্রায় ১৫ গুণ বেশি চিনি রয়েছে এবং এটি মাখনের মতো মসৃণ। আঁশ নেই বললেই চলে।

২০১৪ সালে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ইসেটান নাকাগাওয়ার একটি আম টোকিওর শিনজুকুকে প্রদর্শন করেছিল। তখন ওই আম প্রায় ৪০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। এক আমের এমন চক্ষু চড়কগাছ দাম খবরের শিরোনামও হয়েছিল। এর পর থেকে এসব আম আরো ভোক্তার নজর কেড়েছে এবং দিনদিন এটি দুর্লভ পণ্য হয়ে উঠছে। যেই অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভোক্তারা নাকাগাওয়ার আম অর্ডার করতে পারেন, সেখানে প্রায়ই গাঢ় লাল ফন্টে ‘সোল্ড আউট’ লেখা থাকে।

Advertisement
Advertisement