ঢাকা,  শনিবার
২৭ এপ্রিল ২০২৪

Advertisement
Advertisement

শিশুর দাঁত উঠতে শুরু করেছে? মাড়ির অস্বস্তি কমাতে কী করবেন জেনে নিন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৫৮, ১০ মে ২০২৩

শিশুর দাঁত উঠতে শুরু করেছে? মাড়ির অস্বস্তি কমাতে কী করবেন জেনে নিন

শিশুর জন্মের পর সাধারণত চার থেকে সাত মাস বয়সের মধ্যে যে কোনও সময়ে তার মাড়ি থেকে প্রথম কয়েকটি দাঁত উঁকিঝুঁকি দিয়ে শিশুদের দুধের দাঁত উঠতে শুরু করে। এই সময়ে হাতের কাছে যা পায়, তাতেই কামড় বসানোর প্রবণতা দেখা যায়। তা ছাড়া দাঁত গজানোর সময় থেকে শিশুদের মাড়িতে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। কারও কারও যন্ত্রণাও হয়। সেই কষ্টের কথা মুখে বলে প্রকাশ করতে পারে না বলে সারা ক্ষণ কান্নাকাটি করতে থাকে। কোনও কিছুতেই সুস্থ বোধ করে না।  

শিশুদের দাঁত ওঠার সাথে সাধারণত নানা ধরনের বিভিন্ন উপসর্গ জড়িত থাকে। অনেকেরই খিদে কমে যায়। পেটের গন্ডগোল, জ্বর বা বমি হতে পারে। দাঁত ওঠার লক্ষণগুলো যেমন জ্বর, জ্বলন, ব্যথা এবং স্বাভাবিক প্রকৃতির অস্বস্তিগুলো বচ্চাদের ঘ্যান ঘ্যানে কর তুলতে পারে এবং বেশ যন্ত্রণার মধ্যে ফেলতে পারে। শিশুর দাঁত ওঠার যন্ত্রণাগুলো কি এবং কীভাবে সেগুলো নির্ণয়ের দ্বারা বাচ্চার যন্ত্রণা লাঘবের ক্ষেত্রে আপনি তাকে সহায়তা করতে পারেন সে সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরী করে নিন।

শিশুদের নতুন দাঁত ওঠার সময়ে এমন সমস্যা হয় কেন?

কমবেশি সব শিশুরই দাঁত ওঠার সময়ে মাড়ি সুড়সুড় করে, ব্যথা হয়। তবে সকলের ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা সমান নয়। অতিরিক্ত ব্যথা হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।

ব্যথা উপশমের ক্ষেত্রে এই সকল ভুল ভ্রান্তিগুলো এড়িয়ে চলুন

আপনি আপনার সন্তানকে তার দাঁত ওঠার যন্ত্রণা থেকে উপশম দেয়ার জন্য সাহায্য করার চেষ্টায় রত থাকেন।

ঘরের তাপমাত্রা খুব নিম্ন মানে স্থির রাখা 
আপনার বাচ্চার ঘরের তাপমাত্রা সবসময় 65-70 ডিগ্রী ফারেনহাইটের মধ্যে রাখা উচিত।এই তাপমাত্রা আপনার ছোট্টটিকে আরাম পেতে এবং ভাল অনুভব করতে সহায়তা করতে পারে।

প্রাপ্ত বয়স্কের ওষুধ
প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নির্ধারিত ওষুধগুলির কোনও ডোজই কখনই আপনার শিশুকে দেবেন না। আপনার সন্তানকে যেকোনও ওষুধ সেবন করানোর পূর্বে সর্বদা আপনার ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

ঠাণ্ডা পানি
আপনার সোনাটিকে একটু ভাল বোধ করাতে তাকে সাহায্যের জন্য কখনই যেন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে বসবেন না। 6 মাসের কম বয়সী শিশুদের জন্য পানি দেয়ার সুপারিশ সাধারণত করা হয় না বললেই চলে। তার পরিবর্তে তাকে স্তন দুধ অথবা ফরমূলা দুধ খাওয়াতে পারেন। আপনার সন্তান যদি 6 মাসের বেশি বয়সী হয়ে থাকে,আপনি তাকে পানি দিতে পারেন তবে সেটি যেন ঘরের তাপমাত্রায় থাকে,কারণ ঠাণ্ডা পানির তুলনায় এটি হল একটি ভাল বিকল্প।

যখন একজন ডাক্তার ডাকা প্রয়োজন

এটা স্বাভাবিক যে দাঁত ওঠার সময় আপনার বাচ্চা ঘ্যান ঘ্যানে হয়ে উঠবে এবং স্বভাবতই তার মেজাজও খারাপ থাকবে কারণ সে যেসকল অস্বস্তি এবং কষ্টগুলির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করে তার জন্য এটা তার ক্ষেত্রে হওয়াটা সমর্থনযোগ্য। তবে আপনি যদি আপনার সন্তানের দাঁত ওঠার সময় তার মধ্যে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি লক্ষ্য করে থাকেন, সেক্ষেত্রে এটি হয়ত আরও অন্য কিছুর ইঙ্গিত দিয়ে থাকতে পারে এবং সেক্ষেত্রে যত শীঘ্র সম্ভব একজন ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নেয়ারই সুপারিশ করা হয়।

. আপনার সন্তান তিন মাসের কম বয়সী হলে এবং তার দেহের তাপমাত্রা 100.4 ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তার বেশি থাকলে
. আপনার সন্তান তিন মাসের বেশি বয়সী হলে এবং তার দেহের তাপমাত্রা 102 ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তার বেশি হলে
. জ্বরটি 24 ঘন্টারও বেশি সময় ধরে স্থায়ী থাকলে,
. আপনার বাচ্চার জ্বরের সাথে যদি বমি করা, র‍্যাশ বেরোনো এবং ডায়রিয়া হয়ে থাকে,
. আপনার ছোট্টটিকে ভীষণ ক্লান্ত এবং অসুস্থ দেখালে,
. যদি টিথিং রিং অথবা উপশমকারী সহায়ককারীগুলোর দ্বারাও তার ব্যথা প্রশমিত করে তাকে শান্ত করে না তোলা যায়।
. বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় জ্বর হওয়াটা যতক্ষণ উপরে উল্লিখিত তাপমাত্রার পরিমাপের মধ্যে সীমিত থাকে ততক্ষণই।
 

কমবেশি সব শিশুরই দাঁত ওঠার সময়ে এমন সমস্যা হয়। মাড়ি সুড়সুড় করে, ব্যথা হয়। তবে সকলের ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা সমান নয়। অতিরিক্ত ব্যথা হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়। সেই সঙ্গে আরও কী করবেন দেখুন... 

১) চিবোনো যায় এমন খেলনা দিন

এই সময়ে শিশুদের মধ্যে কামড়ানোর প্রবণতা বাড়ে। সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে চিকিৎসকের পরামর্শে কামড়ানোর খেলনা দিন। তাতে দাঁতের ক্ষতি হবে না। এগুলো দেয়ার আগে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিতে পারেন। তাতে শিশুর আরাম লাগবে।

২) ঠান্ডা জলে ভিজানো কাপড়

খেলনা দিতে না চাইলে পরিষ্কার, সুতির কাপড় জলে ভিজিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। মাড়িতে ব্যথা হলে বা কিছু কামড়াতে চাইলে ফ্রিজ থেকে বার করে সেই কাপড় চিবোতে দিন। শিশুর অস্বস্তি লাঘব হবে এবং আরাম লাগবে।

৩) বাচ্চাদের ব্রাশ

বাচ্চাদের জন্য নরম ব্রিসলযুক্ত দাঁত মাজার ব্রাশ পাওয়া যায়। চিবোনোর জন্য সেগুলোও বাচ্চাদের দিতে পারেন।  

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় জ্বর হওয়াটা যতক্ষণ উপরে উল্লিখিত তাপমাত্রার পরিমাপের মধ্যে সীমিত থাকে ততক্ষণ তা কোনও গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে ওঠে না। তবে যদি আপনি লক্ষ্য করেন যে আপনার সোনাটি আরও অন্যান্য উপসর্গের সহিত উচ্চ মাত্রায় জ্বরে ভুগছে, সেক্ষেত্রে সে কোনও গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য অনতিবিলম্বে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরূরী
 
সূত্র: আনন্দবাজার

এসএস

Advertisement
Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_05/p1kq0rsou/public_html/details.php on line 531