আয়ারল্যান্ডের উল্লাস
টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশের সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেটা সম্ভব হয়নি। শেষ ম্যাচে ৩৬ বল বাকি থাকতেই আইরিশরা ৭ উইকেটে জিতেছে।
এর আগে শুক্রবার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
ইনিংসের প্রথম ওভারে ৯ রান তুলে ভালো সংগ্রহের ইঙ্গিত দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। তবে দ্বিতীয় ওভারে লিটন দাস ৫ রানে ফিরে গেল ভাঙতে শুরু করে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরেন ব্যক্তিগত ৪ রানে। আগের দুই ম্যাচে দারুণ খেলা রনির ব্যাটে আসে ১৪ রান। এটাই বাংলাদেশের ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
এরপর ৪১ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশের হাল ধরেন শামীম পাটোয়ারী। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৫১ রান। এই ম্যাচে শামীম-রনি ছাড়া মাত্র দুইজন বাংলাদেশি ব্যাটার দুই অঙ্কের কোটা পার হতে পেরেছেন। নাসুম আহমেদ ১৩ ও তাওহিদ হৃদয় ১২ রান করেন। আইরিশদের হয়ে ২৫ রানে তিন উইকেট নেন মার্ক অ্যাডায়ার।
জবাবে আইরিশরাও শুরুটা ভালো করতে পারেনি। দলীয় ১৭ রানে ওপেনার রস অ্যাডায়ারকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। দলীয় ৪১ রানে ফেরেন উইকেটরক্ষক লরকান টাকার। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে অধিনায়ক পল স্টার্লিং গড়ে দেন জয়ের ভিত।
৪১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দলীয় ১০৯ রানে স্টার্লিং ফিরলেও আইরিশদের জয় পাওয়া মোটেও কঠিন হয়নি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন হ্যারি ট্যাক্টর ও কার্টিস ক্যাম্ফার। দুইজন অপরাজিত ছিলেন যথাক্রমে ১৪ ও ১৬ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ- ১২৪/১০ ( শামীম ৫১*, রনি ১৪, অ্যাডায়ার ৩/২৫)
আয়ারল্যান্ড- ১২৬/৩ (স্টার্লিং ৭৭, ক্যাম্ফার ১৬*, রিশাদ ১/১৯)