কিডনি
বাংলাদেশে কোনো না কোনো কিডনি রোগে ভুগছে অন্তত ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। কিডনি রোগ প্রতিরোধের বার্তা মানুষ ঠিকভাবে পায় না। তবে সরকার গ্রাম পর্যায়ে রোগ শনাক্তের উদ্যোগ নিয়েছে।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠকে সরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এসব কথা বলেন।
‘সবার জন্য কিডনি স্বাস্থ্য-কিডনি চিকিৎসায় সহ–অধিকার: অর্জনে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকটি আয়োজন করে বেসরকারি সংগঠন ‘কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস)’। অনুষ্ঠানে কিডনি রোগীদের জন্য বিমা চালুর ব্যাপারে উদ্যোগী হতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়।
জাতীয় অধ্যাপক ও ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ কে আজাদ খান বলেন, কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে করণীয় বিষয় নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচার-প্রচারণা চালানোর বিষয়ে বলা হচ্ছে। কিন্তু মানুষ তা শুনছে না। কারণ, ঠিকভাবে মানুষের কাছে তা বলা হচ্ছে না। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে কীভাবে বললে মানুষ শুনবে, তা নিয়ে গবেষণা হওয়া দরকার।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, কিডনি রোগ হয়ে গেলে তখন সমস্যার শেষ নাই। সুতরাং এই রোগ যেন না হয়, সে বিষয়ে আগেই সতর্ক থাকতে হবে। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস কিডনি রোগের কারণ।