ঢাকা,  শনিবার
২৭ জুলাই ২০২৪

Advertisement
Advertisement

ইমরান সরকারের পতন বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ফজলুর রেহমান

প্রকাশিত: ১০:২৩, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ২২:০৮, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ইমরান সরকারের পতন বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ফজলুর রেহমান

ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পার্লামেন্টে যে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার নির্দেশনায়। এমন নতুন তথ্য সামনে নিয়ে আসলেন জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের (জেইউআই–এফ) আমির মাওলানা ফজলুর রেহমান।

বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য দেন তিনি। ২০২২ সালের এপ্রিলে ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করার ওই তৎপরতা হয়েছিল পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নামের একটি জোটের মাধ্যমে। নওয়াজ শরিফ নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ (পিএমএল–এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) বেশ কয়েকটি দল ওই জোটের অংশিদার ছিল। আর ওই জোটের প্রধান ছিলেন এই ফজলুর রেহমান।

তবে এখন সময় পাল্টে গেছে। ফজলুর রেহমান এখন ইমরান ভক্ত। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে অনাস্থা প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিলাম। কিন্তু অন্য দলগুলোর চাপাচাপির মুখে আমি যদি না বলতাম, তাহলে আমি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে রক্ষা করছি বলে আমার ওপর একটি তকমা লাগানো হতো।

ইমরান খান নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহেরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) সরকার উৎখাতের পর পিএমএল–এনের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠন হয়। ওই সরকারই ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আগে ১৬ মাস পাকিস্তান শাসন করে।

ইমরান খান প্রথমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন। তবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে জো বাইডেন প্রশাসন। পরে অবশ্য ইমরান এ জন্য সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়ার ওপর দোষ চাপান।

ইমরান খান গত বছর ফেব্রুয়ারিতে এক সাক্ষাৎকারে জেনারেল বাজওয়ার সঙ্গে একজন সাংবাদিকের কথোপকথন উদ্ধৃত করে বলেছিলেন, পিটিআই সরকার উৎখাতের পেছনে যে তার হাত ছিল, তা স্বীকার করে নিয়েছেন জেনারেল বাজওয়া।

পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারান ইমরান খান। এর পর থেকে তিনি ধারাবাহিকভাবে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলে গেছেন। অবশ্য পাকিস্তানের রাজনীতিবিদদের অনেকে পিটিআই সরকার উৎখাতে সাবেক সেনাপ্রধানের সম্পৃক্ততার কথা বলেছেন।

সাক্ষাৎকারে ফজলুর রেহমান বলেন, পিপিপি অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছিল। তখন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফাইজ হামিদ (তৎকালীন আইএসআই প্রধান) আমাকে বলেছিলেন যে আমি যা চাই তা করতে পারি। কিন্তু তা এই ব্যবস্থার মধ্যে থেকে করতে হবে। জেনারেল হামিদ বলেছিলেন, তিনি এই ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারবেন না। অর্থাৎ যা কিছু করার তা পার্লামেন্টের ভেতরেই করতে হবে। রাজপথে কিছু করা যাবে না।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ইমরান খানের পিটিআই–সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি—৯২টি আসন পেয়েছে। এরপর পিএমএল–এন ৭৯টি এবং পিপিপি ৫৪টি আসনে জয় পেয়েছে।

এই নির্বাচনের ফল নিয়ে কোনো দলই সন্তুষ্ট নয়। এমনকি পিপিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে জোট করে নতুন সরকার গঠন করতে যাওয়া পিএমএল–এনও অসন্তুষ্ট।

ফজলুর রেহমান ও তার দল সংসদে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তারা সরকারে যোগ দেবেন না।

Advertisement
Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_05/p1kq0rsou/public_html/details.php on line 531