রোনালদো
১ নভেম্বর দিনটি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জন্য বিশেষ কিছু। তাঁর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের উজ্জ্বলতম অধ্যায়ের শুরুটা ছিল যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে, সে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন ২০০৩ সালের এই দিনেই।
২২ বছর পর সেই একই দিন ক্রিস্টিয়ানোর রোনালদোর জন্য ফিরে এসেছে আরও আনন্দময় হয়ে। এবার ১ নভেম্বর পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে প্রথম গোল করেছে ক্রিস্টিয়ানোর ছেলে রোনালদো জুনিয়র। শুধু ছেলেই নয়, একই দিন মাঠে নেমে গোল করেছেন বাবা রোনালদো নিজেও।
ক্রিস্টিয়ানোর বড় সন্তান রোনালদো জুনিয়রের পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৬ দলে অভিষেক হয়েছে তিন দিন আগেই। তবে তুরস্কের বিপক্ষে ফেডারেশন কাপের সেই ম্যাচে তাকে নামানো হয়েছিল শেষ দিকে বদলি হিসেবে। গতকাল একই টুর্নামেন্টে ওয়েলসের বিপক্ষে অবশ্য প্রথমার্ধেই নামার সুযোগ পেয়েছে রোনালদো জুনিয়র। ৪২ মিনিটে তার গোলেই ম্যাচে এগিয়ে যায় পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৬। সতীর্থ কার্লোস মইতার পাস থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের নিচু শটে বল জালে পাঠায় রোনালদো জুনিয়র। ম্যাচটি পর্তুগাল ৩-০ গোলে জিতেছে।
আল নাসরের বয়সভিত্তিক দলে খেলা ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলা রোনালদো জুনিয়রের গোলটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই এর সঙ্গে তার বাবার ফিনিশিংয়ের মিল খুঁজে পাওয়ার কথা লিখেছেন। ছেলের গোলে বাবা রোনালদোও যে ভীষণ খুশি, সেটি তাঁর ইনস্টাগ্রামে প্রতিক্রিয়াতেই বোঝা গেছে। রোনালদো জুনিয়রের গোলের ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করেছেন রোনালদো। ভিডিওতে তিনটি আগুনের ইমোজি জুড়ে দেওয়া।
তুরস্কের মাটিতে ওয়েলস-পর্তুগাল ম্যাচের ছয় ঘণ্টার বেশি সময় পর সৌদি আরবে আল নাসরের হয়ে খেলতে নামেন রোনালদো। সৌদি প্রো লিগের ম্যাচটিতে আল ফেইহার বিপক্ষে ৩৭ মিনিটে গোল করেন রোনালদো। পরে ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচে যোগ করা সময়ের ১৫তম মিনিটে (১০৫) রোনালদোর পেনাল্টি গোলে জয় পায় আল নাসর। এ জয়ে প্রো লিগে ৭ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে রোনালদোর দল। আর হাজার গোলের মাইলফলকের দিকে ছোটা এই পর্তুগিজ তারকার ক্যারিয়ার গোসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫২-তে।
তবে ব্যক্তিগত গোল ছাপিয়েও রোনালদো হয়তো কাকতালীয় এক মিলের কারণেই বেশি আনন্দিত। ২২ বছর আগে ইউনাইটেডের জার্সিতে পোস্টমাউথের বিপক্ষে প্রথম গোল করেছিলেন, একই দিনে তাঁর ছেলে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে করল প্রথম গোল—রোনালদোর আনন্দ যে বেশিই হওয়ার কথা।



.png)
.png)