
মানুষের ক্ষণস্থায়ী আবাস্থল দুনিয়া। আর চিরস্থায়ী ঠিকানা পরকাল। সেখানে মানুষের চিরস্থায়ী আবাস হবে দুই ভাগে বিভক্ত; জান্নাত ও জাহান্নম। জান্নাত ভালো কাজের পরিশ্রম তথা সর্বপরি বান্দার ওপর আল্লাহর সন্তুষ্টির ফল। তাইতো জান্নাতকে পরিশ্রম দ্বারা পরিপূর্ণ করা হয়েছে। জাহান্নাম কুপ্রবৃত্তির উপহার তথা সর্বপরি বান্দার ওপর আল্লাহর অসন্তুষ্টির ফল। তাই জাহান্নামে প্রবৃত্তি দ্বারা পরিপূর্ণ।
যারা কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করে ভালো কাজে নিজেকে যোগ্য করে গড়বে তাদের চিরস্থায়ী আবাস হবে জান্নাত। কিন্তু এ জান্নাতের ঘরসমূহ কিসের তৈরি? কী কী উপাদান দিয়ে আল্লাহ তাআলা জান্নাতের ঘরসমূহ তৈরি করেছেন। প্রিয়নবি হাদিসে পাকে সে বর্ণনা প্রকাশ করেছেন-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জান্নাতের ঘরসমূহ (সৃষ্টি) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে তিনি বলেন- জান্নাতের একটি ইট রূপার; অপরটি (একটি ইট) সোনার; আর তার আস্তর হলো মিস্ক; তার সুরকি হলো মণি-মুক্তার পাথর। আর জান্নাতের মাটি হলো জাফরান।
যে ব্যক্তি একবার জান্নাতে প্রবেশ করবে, সে জান্নাতের নেয়ামত ভোগ করতে থাকবে। কখনও সে হতাশ হবে না। জান্নাতে চিরকাল থাকবে। সেখানে সে কখনও মরবে না। তাদের পরিধেয় কাপড় কখনও পুরাতন হবে না এবং তাদের যৌবন কখনও শেষ হবে না।' (তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)
সুতরাং জান্নাত লাভে মুমিন মুসলমানের উচিত, অন্যায় ও কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেদের হেফাজত করার পাশাপাশি ন্যয় ও সত্যের পথে কঠোর পরিশ্রমে নিজেদের নিয়োজিত করা জরুরি।
জান্নাত লাভে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে সব সময় আল্লাহর কাছে প্রিয়নবির শেখানো এ দোয়া পড়া- اَللهُمَّ اِنَّا نَسْألُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّار উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান নার। অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা তোমার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় চাই।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম লাভের তাওফিক দিন। জান্নাতুল ফেরদাউস লাভের তাওফিক দিন। আমিন।