ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫

Advertisement
Advertisement

বন্ধ হচ্ছে অবৈধ মোবাইল সেট, মিলবে না নেটওয়ার্কও

প্রকাশিত: ১০:৩১, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

বন্ধ হচ্ছে অবৈধ মোবাইল সেট, মিলবে না নেটওয়ার্কও

মোবাইল

চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে চালু হতে যাচ্ছে মোবাইল ফোনের জন্য জাতীয় পর্যায়েরন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার’ (এনইআইআর) এর মধ্য দিয়ে দেশের সব ধরনের ফোনের আইএমইআই নম্বর জাতীয় ডেটাবেইজে যুক্ত হচ্ছে। আর এই সিস্টেম চালুর পর অবৈধ বা আনঅফিসিয়াল পথে আসা যেকোনো মোবাইল সেট বাংলাদেশের নেটওয়ার্কে আর কাজ করবে না।

একইসঙ্গে বিদেশ থেকে ফোন আনলে কিংবা উপহার পেলে তা দেশের নেটওয়ার্কে চালু করতে হলে বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এক্ষেত্রে আবার লাগবে ওই ফোন ক্রয়ের বৈধ কাগজপত্র। এরই মধ্যে জাতীয় ডিভাইস শনাক্তকরণ ব্যবস্থা চালুর প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)

কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বা আনঅফিসিয়াল পথে আসা সেট ব্যবহারের প্রবণতা বেড়ে গেছে। এসব ফোন শুধু সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করছে না, বরং এসব ডিভাইসের মাধ্যমে সংঘটিত হচ্ছে নানা অপরাধও। অপরাধীরা প্রায়ই অচিহ্নিত বা রেজিস্ট্রেশনবিহীন ফোন ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি রোধে এবং মোবাইল নেটওয়ার্ককে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত নিরাপদ রাখতে চালু করা হচ্ছে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)

বিটিআরসি কর্মকর্তারা বলছেন, এই নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হলে দেশের টেলিযোগাযোগ খাত এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করবে। বিদেশ থেকে আনা যেকোনো ফোন সেট ব্যবহারের আগে নিবন্ধন করতে হবে জাতীয় ডেটাবেইজে। ফলে, ফোনের আইএমইআই নম্বরের মাধ্যমে সহজে শনাক্ত করা যাবে সেটটি বৈধ না অবৈধ। এতে একদিকে যেমন সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে, অন্যদিকে সুরক্ষা পাবে দেশীয় মোবাইল শিল্প। পাশাপাশি, অবৈধভাবে আমদানি বা ব্যবহার করা ফোন চিহ্নিত হলে সাইবার অপরাধ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি রোধ করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে দেশের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক হয়ে উঠবে শতভাগ বৈধ ডিভাইসভিত্তিক। তবে, বর্তমানে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে সচল সব বৈধ বা অবৈধভাবে

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক বলেন, ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার সিস্টেম তৈরির মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে অবৈধ চোরাই মোবাইল হ্যান্ডসেটের ব্যবহার রোধ করা।

তিনি আরও বলেন, এর মাধ্যমে মোবাইল ফোন ক্লোনিং চুরি প্রতিরোধের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্থানীয় মোবাইল ফোন শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি বন্ধ করা এবং গ্রাহকদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। তাছাড়া, মোবাইল ফোনের ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহারের মাধ্যমে সার্বিকভাবে টেলিযোগাযোগ সেবার মান উন্নয়নেও এই সিস্টেম সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

নতুন হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রে কী হবে?

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বরের পর নতুন যেসব মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে, সেগুলো প্রথমে অস্থায়ীভাবে নেটওয়ার্কে সচল থাকবে। এরপর এনইআইআর সিস্টেমের মাধ্যমে বৈধতা যাচাই করা হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত থেকে সচল থাকবে।

অন্যদিকে, কোনো ফোন অবৈধ হলে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে এবং একমাসের সময় দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে ফোনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তবে, বিদেশ থেকে ব্যক্তিগতভাবে ক্রয়কৃত বা উপহারপ্রাপ্ত হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রে বিশেষ নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে, যাতে বৈধভাবে আনা ডিভাইসগুলো ব্যবহারের অনুমতি পায়।

বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রাথমিকভাবে নেটওয়ার্কে সচল থাকবে। এরপর গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে ৩০ দিনের মধ্যে অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্য দাখিল করার নির্দেশনা দেওয়া হবে। দাখিলকৃত তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের মাধ্যমে সচল থাকবে, আর অবৈধ হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে।

এই নিবন্ধনের জন্য গ্রাহককে (neir.btrc.gov.bd) ওয়েবসাইটে গিয়ে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং সেখানে Special Registration সেকশনে গিয়ে হ্যান্ডসেটের IMEI নম্বর প্রমাণপত্র (যেমনপাসপোর্ট, ভিসা, ক্রয় রশিদ, কাস্টমস রশিদ ইত্যাদি) আপলোড করতে হবে।

নতুন ফোন কিনছেন, জেনে নিন বিষয়গুলো

বিটিআরসি জানিয়েছে, মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকেও এই সেবা নেওয়া যাবে। আর বিদ্যমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে নিজের ব্যবহৃত একটি হ্যান্ডসেট বাদে সর্বোচ্চ একটি ফোন বিনা শুল্কে এবং আরও একটি ফোন শুল্ক প্রদান সাপেক্ষে আনতে পারবেন।

কিভাবে জানবেন আপনার ফোন বৈধ কিনা

বর্তমানে ব্যবহৃত সব হ্যান্ডসেট ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। তবে, মোবাইলের অবস্থা জানতে চাইলে সহজেই যাচাই করা যাবে মাত্র ধাপে

ধাপ . *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করুন।

ধাপ . ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে প্রেরণ করুন।

ধাপ . ফিরতি মেসেজে জানানো হবে হ্যান্ডসেটটির নিবন্ধন অবস্থা।

এই তথ্য neir.btrc.gov.bd পোর্টাল বা মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার থেকেও জানা যাবে।

নতুন ফোন কেনার আগে যা করবেন

১৬ ডিসেম্বরের পর যেকোনো বিক্রয়কেন্দ্র, অনলাইন বা -কমার্স সাইট থেকে নতুন ফোন কেনার আগে অবশ্যই বৈধতা যাচাই করতে হবে। এর জন্য ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে— KYD <space> 15 digit IMEI তারপর পাঠাতে হবে ১৬০০২ নম্বরে। ফিরতি মেসেজে ফোনটির বৈধতা সম্পর্কে জানানো হবে।

বিটিআরসি বলছে, ১৬ ডিসেম্বর থেকে কোনো গ্রাহক নিজের হ্যান্ডসেট বিক্রি বা হস্তান্তর করতে চাইলে আগে ডি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এটি করা যাবে— Citizen Portal, MNO Portal, Mobile Apps বা USSD Channel (*১৬১৬১#) এর মাধ্যমে। তবে, ডি-রেজিস্ট্রেশনের সময় গ্রাহকের নিজস্ব NID-এর শেষ চার ডিজিট দিতে হবে। শর্ত অনুযায়ী, হ্যান্ডসেটের সিম অবশ্যই ব্যবহারকারীর নিজের নামে নিবন্ধিত থাকতে হবে।

চুরি বা হারানো ফোন করা যাবে ব্লক আনলক

এই সিস্টেম চালু হলে গ্রাহকের মোবাইল চুরি হলে বা হারালে সেটি সহজেই ব্লক করা যাবে। এজন্য এনইআইআর পোর্টাল (neir.btrc.gov.bd), মোবাইল অ্যাপ বা অপারেটরের কাস্টমার সেন্টার থেকে ফোন লক বা আনলক করা যাবে।

যাদের ইন্টারনেট সংযোগ নেই, তারাও USSD চ্যানেল বা অপারেটরের ১২১ নম্বরে কল করে সেবা নিতে পারবেন।

মোবাইল উৎপাদন, আমদানি বিক্রিতে মানতে হবে নতুন নিয়ম

বিটিআরসি জানিয়েছে, দেশের চাহিদার বেশিরভাগ মোবাইল এখন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। তবে, কিছু বিশেষ মডেল নিবন্ধিত ভেন্ডরদের মাধ্যমে আমদানি করা হয়। এনইআইআর কার্যকর হওয়ার পর উৎপাদন বা আমদানি করা সব ফোনের আইএমইআই নম্বর কমিশনে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে জমা দিতে হবে।

আইএমইআই জমা না দিলে বৈধভাবে উৎপাদন বা আমদানিকৃত হ্যান্ডসেটও নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারবে না।

একইভাবে, বিক্রেতাদেরও ফোন বিক্রির আগে আইএমইআই যাচাই করতে হবে এবং ফেক বা নকল আইএমইআই যুক্ত ফোন বিক্রি করা যাবে না। এছাড়া, এনইআইআর সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য জানতে বিটিআরসির হেল্পডেস্ক নম্বর ১০০ অথবা অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার নম্বর ১২১- যোগাযোগও করা যাবে।

কমবে অপরাধ, বাড়বে রাজস্ব

বিষয়টি নিয়ে বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বিটিআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী জনাব ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বিভিন্ন সেবা সম্পর্কিত সরকারের ডাটাবেজে অনেক তথ্যের গরমিল থাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য চ্যালেঞ্জ মুখে পড়তে হয়। ২০২৪ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল জালিয়াতি হয় অবৈধ ডিভাইস সিম থেকে যা এনইআইআর চালুর মাধ্যম কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, অবৈধ হ্যান্ডসেটের কারণে প্রতি বছর ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এনইআইআর কেবল প্রযুক্তিগত সুবিধা নয় বরং এটা রাষ্ট্রীয় গ্রাহক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং সিমের মাধ্যমে প্রতারণা, আর্থিক লেনদেন জালিয়াতি কমে আসবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী (অব.) বলেন, এনইআইআর চালু হলে মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং সিম সংক্রান্ত সহজে সনাক্ত করা যাবে। বিদ্যমান টেলিকম নেটওয়ার্ক পলিসির আলোকে গাইডলাইন তৈরির কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান দেশে ৩৮ ভাগ ফিচার ফোন ব্যবহার হচ্ছে তাই স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়াতে সব ধরণের কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে।

চোরাই রিফাবরিসড হ্যান্ডসেট বাজারে থাকায় মোবাইল ফোনের দাম কমছেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এনইআইআর চালু হলে দেশীয় ১৮টি মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে হ্যান্ডসেট বিক্রি করতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরাও। তারা মনে করছেন, ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম চালুর মাধ্যমে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে এক নতুন অধ্যায় সূচিত হতে যাচ্ছে। এর ফলে অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজারে প্রবেশ ঠেকানো সম্ভব হবে, যা রাষ্ট্রীয় রাজস্ব বৃদ্ধি গ্রাহক সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি এই উদ্যোগ স্থানীয় হ্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্পকে আরও গতিশীল করবে, বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং প্রযুক্তি খাতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এনইআইআর সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নেওয়ায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) ধন্যবাদ জানিয়ে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এমআইওবি) সভাপতি জাকারিয়া শহীদ বলেন, এই উদ্যোগের ফলে দেশের বৈধ আমদানিকারক স্থানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সমান প্রতিযোগিতার সুযোগ পাবে। যা পুরো শিল্পকে একটি ন্যায্য স্বচ্ছ কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসবে। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা যেমন নিরাপদ নিবন্ধিত হ্যান্ডসেট ব্যবহারে নিশ্চয়তা পাবেন, তেমনি রাষ্ট্রীয় রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ হয়ে সরকারের আয় বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের এই উদ্যোগ কেবল আইনশৃঙ্খলা রাজস্ব ব্যবস্থাপনার দিক থেকে নয়, প্রযুক্তি খাতের টেকসই প্রবৃদ্ধি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

অন্যদিকে মোবাইল অপারেটররা এনইআইআর বাস্তবায়নে দৃঢ় রয়েছেন উল্লেখ করে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটর্স অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, দেশীয় মোবাইল উৎপাদনকারীরা এখন আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করতে পারবে। কারণ, তাদের উৎপাদিত হ্যান্ডসেট বাজারে সুরক্ষিত থাকবে। পাশাপাশি মোবাইল অপারেটর খুচরা বিক্রেতারাও একটি পরিচ্ছন্ন বাজার ব্যবস্থার অংশীদার হতে পারবে। আর এনইআইআর বিষয়ে জনসাধারণকেও অবগত করতে সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

Advertisement
Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/dikdorshon/public_html/details.php on line 531