ট্রাম্প
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরকে (পেন্টাগন) পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার কার্যক্রম পুনরায় শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেন, তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন অন্যান্য পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মতো 'সমানভাবে' পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করে।
ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প লিখেছেন, 'অন্যান্য দেশের পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের কারণে আমি যুদ্ধ দপ্তরকে (ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার) নির্দেশ দিয়েছি, যেন তারা আমাদের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করে। এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু হবে।'
ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন, 'রাশিয়া দ্বিতীয় স্থানে আছে, আর চীন অনেক পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে। তবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই তারা সমান হয়ে যাবে।'
ট্রাম্পের এ নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের নীতির এক বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ১৯৯২ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। এরপর রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ শীতল যুদ্ধের অবসানকালে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ জারি করেন।
যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায় ১৯৯২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা অঙ্গরাজ্যের একটি ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় সেই পরীক্ষা চালানো হয়।
এ প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিভাইডার’। লস অ্যালামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির তথ্যমতে, এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ১ হাজার ৫৪তম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা। এ গবেষণাগারই বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বোমা তৈরির কাজে প্রধান ভূমিকা রেখেছিল।
এদিকে বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়া সফলভাবে একটি পোসেইডন পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অস্ত্রটি বিশাল আকারের বিকিরণযুক্ত সমুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি করে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোকে ভয়াবহভাবে ধ্বংস করার সক্ষমতা রাখে।



.png)
.png)