ঘাড়ে ব্যথা
প্রায় ৯০ শতাংশ পুরুষ ও ১২ শতাংশ নারী জীবনের কোনো না কোনো সময় ঘাড়ের ব্যথায় ভোগেন। বিভিন্ন কারণে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে, যেমন– মাসল ক্রাম্পস, নেক স্প্রেইন, ফ্যাসেট জয়েন্ট ব্যথা, অস্টিওপরোসিস, স্পাইনাল স্টেনোসিস, বালজিং ডিস্ক, হুইপ্লাস ইনজুরি ইত্যাদি।
প্রতিরোধের উপায় ও সঠিক ভঙ্গি
ঘাড়ের ব্যথা নিয়ন্ত্রণের চেয়ে প্রতিরোধ অনেক বেশি উপকারী।
কাজের সময় সতর্কতা: কম্পিউটারে কাজ করার সময় কম্পিউটার স্ক্রিন ও আই লেভেল সঠিক রাখতে হবে। একই ভঙ্গিতে বেশিক্ষণ (৩০ মিনিট) কাজ করা যাবে না। কখনোই যেন মাথা ও চোয়াল কাঁধ থেকে সামনে চলে না আসে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
ঘুমের ভঙ্গি: সঠিকভাবে ঘুমাতে হবে।
ফোনে কথা বলা: সঠিক ভঙ্গিতে ফোনে কথা বলতে হবে এবং কান ও কাঁধের মধ্যে টেলিফোন ব্যবহার করা যাবে না।
নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন ঘাড়ের মাংসের নিয়মিত স্ট্রেসিং ও স্ট্রেন্দেনিং (শক্তিশালী করার) ব্যায়াম করতে হবে।
কলার ব্যবহার: সারভাইক্যাল কলার ব্যবহার করার সময় সতর্কতা মেনে চলতে হবে। কলারের অতিরিক্ত ব্যবহারে ঘাড়ের মবিলিটি (সচলতা) কমে যায়, যা নরম টিস্যুকে খাটো ও দুর্বল করে ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে।
অন্যান্য: মাথা, ঘাড় ও কাঁধের সঠিক ভঙ্গি মেনে চলা এবং হাতে ওজন ব্যবহার করার সময় সঠিক নিয়ম অনুসরণ করা।
ফিজিওথেরাপি ও খাদ্যতালিকা
ফিজিওথেরাপি: রোগের বিস্তারিত ইতিহাস ও ফিজিক্যাল এক্সামিনেশনের ভিত্তিতে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসা লক্ষ্য ঠিক করেন।
খাদ্যতালিকা: ঘাড়ের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
প্রচুর পানি পান করতে হবে।
দিনে দুই গ্লাস দুধ পান করুন বা দুধের বিকল্প হিসেবে তিলভর্তা খেতে পারেন।
গরুর কলিজা, প্রতিদিন একটি করে পূর্ণ সেদ্ধ ডিমের সাদা অংশ, পনির, এক চা
চামচ আদার রস ও এক কোয়া রসুন প্রতিদিন খেতে হবে।
লেখক: মাস্কুলোস্কেলিটাল ডিজঅর্ডারস বিশেষজ্ঞ



.png)
.png)