আজকাল থাইরয়েড নিয়ে সমস্যা পড়া রোগীর সংখা বাড়ছে। যা ছোট্ট প্রজাপতি আকারের গ্রন্থি, গলার কাছে থাকে। এর মধ্যে থাইরক্সিন হরমোন নিঃসৃত হয়। থাইরয়েড হরমোন হার্ট বিট ঠিক রাখে। পাশাপাশি, মেটাবলিজম, শরীরের বৃদ্ধির হার ও বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে।
এর গ্রন্থিটি যদি ঠিকমতো কাজ না করে তাহলে তাকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলে। আবার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় কাজ করলে তাকে হাইপারথাইরয়েডিজম বলা হয়। বেশি পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন হলে এই সমস্যা হয়।
চিকিৎসকরা এ বিষয়ে বলছেন, কিছু বিশেষ পানীয় নিয়ম করে খেলে থাইরয়েডের সমস্যা সহজেই দূর করা যায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সোনালি দুধ: হলুদ মেশানো দুধ থাইরয়েডের সমস্যা দূর করতে দারুণ কাজ দেয়। এই ধরনের দুধের মধ্য প্রদাহনাশী গুণ রয়েছে। এই দুধ নিয়মিত খেলে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার: এটি রক্তে শর্করার হার নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি অনেকটা সময় পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। একটি টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে খেলে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বাটারমিল্ক: বাটারমিল্কে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক। এটি পেটের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবাণুগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এগুলোই খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
লাল শরবত: বিটের রস ও গাজরের রস মিলিয়ে তৈরি হয় এই লাল রঙের শরবত। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিউয়েন্টস থাকে। পাশাপাশি থাকে লাইকোপেন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
সবুজ শরবত: সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্লোরোফিল থাকে। এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। পালং শাক, আমলকি, পুদিনা ও ধনেপাতা মিশিয়ে এই শরবত বানিয়ে খান। এতে থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।