ঠিকমতো ঘুম হয় না, এমন অভিযোগ সব বয়সী মানুষেরই। অফিসের কাজের চাপ, ঘরের কাজ শেষ করতে করতে ঘুমানো আর সময় হয় না। অনেকে বেশি ঘুমালে অপরাধবোধে ভোগেন। ঘুম কম হলে স্মৃতি লোপ পাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আবার কেউ কেউ গভীর রাতে ঘুমান, আর ওঠেনও দেরিতে। ক্লান্ত থাকলেও ঘুমাতে যেতে গড়িমসি করেন। জেনে রাখা ভালো, কম ঘুমালে স্বাস্থ্য ক্ষয় হয়। কম ঘুমানোর কারণে ডিমেনশিয়ার মতো কিছু মারাত্মক রোগ হতে পারে। যেমন—হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা।
যুক্তরাষ্ট্রের দুটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুম যত কম হবে, মগজে তত বিটা অ্যামাইলয়েড নামে এক ধরনের রাসায়নিক বর্জ্য তত জমবে। ঘুম ভালো হলে রাসায়নিক বর্জ্য পরিষ্কার হয় শরীর থেকে। স্মৃতি লোপ পাওয়ার অন্যতম কারণ এই বিটা অ্যামাইলয়েড। দেখা গেছে, ঘুম কম হলেই এই রাসায়নিক ৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশি জমে। আর ২০ শতাংশ জমলে স্মৃতি ফিকে হওয়া আর ৪০ শতাংশ জমলে আলঝেইমার্স হওয়ার আশঙ্কা প্রায় শতভাগ।
করণীয়
পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
ঘুমের জন্য শান্ত পরিবেশ তৈরি করুন।
বিকেলের পর চা-কফি পান না করা ভালো।
প্রতিদিনের খাবাবে প্রোবায়োটিকস রাখুন।
প্রতিদিন এক সময় ঘুমাতে যাবেন। তা না হলে দেহঘড়ি বিগড়ে যায়।
নিমপাতা ভেজানো পানিতে গোসল করুন।
গরমের সময় ঘুমানোর আগে কুসুম গরম পানিতে গোসল করা ভালো।
প্রাণায়াম, যোগ, ব্রিদিং এক্সারসাইজ, ধ্যানও ভালো ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ঘুমানোর আগে সব রকম ডিভাইসের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।