ঢাকায় পুলিশ হত্যার আসামি দুবাইয়ে সোনার বড় ব্যবসায়ী বনে যাওয়া রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা সমালোচনা। কিভাগে এই আসামি দেশের বাইরে চলে গেল আর এতো অল্প সময়ের মধ্যে কিভাবে সে এতো টাকার মালিক হয়েছেন।
স্যোশাল মিডিয়ায় ইতোমধ্যেই রবিউলের পেছেন সাবেক পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে নানা মন্তব্য চলছে। আর এর মাঝেই শনিবার (১৮ মার্চ) এক ফেসবুক পোস্টে বেনজীর আহমেদ লেখেন, ‘সম্মানিত দেশবাসী, আমি আপনাদের সবাইকে আশ্বস্ত ও সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে চাই যে “আরাভ ওরফে রবিউল ওরফে হৃদয়” নামে আমি কাউকে চিনি না। আমার সাথে তার এমনকি প্রাথমিক পরিচয়ও নাই।’
গত ছয় মাসে আগে বাংলাদেশ পুলিশের প্রধানের পদ থেকে অবসরে গেছেন বেনজীর আহমেদ। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, র্যাবের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, আমি আমার ল এনফোর্সমেন্ট ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় খুনি, সন্ত্রাসী, ড্রাগ ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, ভেজালকারী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, কখনোই সখ্যতা নয়।
দুবাইয়ে গত বুধবার এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধন করেন আরাভ খান। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রীড়া ও বিনোদনজগতের অনেক তারকাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দিয়েছিলেন আরাভ খান। তখনই তাকে শনাক্ত করে ফেলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ওই জুয়েলার্সের মালিক আরাভ খানের আসল নাম রবিউল ইসলাম। বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তার বাড়ি। তিনি সোহাগ মোল্লা, হৃদয় শেখ, আপন—রকম কয়েকটি নামে পরিচিত। ২০১৮ সালের ৭ জুলাই ঢাকায় পুলিশের পরিদর্শক মামুন এমরান খান খুন হন। সেই খুনের আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন আরাভ।