
মুসলিম ছাত্রকে শ্রেণিকক্ষে অপমান
ভারতে এক স্কুল শিক্ষিকার নির্দেশে সাত বছর বয়সী মুসলিম ছাত্রকে শ্রেণিকক্ষে অপমানজনক আচরণের শিকার হতে হয়েছে। শিশুটিকে থাপ্পড় দিতে সব সহপাঠীকে নির্দেশ দেন সেই শিক্ষিকা। এমনকি মুসলিম হওয়ার কারণে সেই ছাত্রকে বহিষ্কার করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে সে ঘটনার দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে আলোচনা, সমালোচনা ও বিতর্ক।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরের এক বেসরকারি বিদ্যালয়ে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষের মাঝামাঝি চেয়ার-টেবিল পাতা। বসে রয়েছেন শিক্ষিকা। এক পাশে মেঝেতে শিক্ষার্থীরা বসা, অন্য পাশে এক শিশুশিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে আছে। একে একে করে শিশুশিক্ষার্থীরা উঠে আসছে, দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীকে মারে নিজের জায়গায় গিয়ে বসে পড়ছে। পুরো ঘটনা ঘটছে শিক্ষিকার সামনে ও তার তত্ত্বাবধানে হচ্ছে।
এসময় শিক্ষিকার অন্য প্রান্তে বসা এক লোকের কণ্ঠ শোনা যায়। যিনি থাপ্পড় মারাকে উৎসাহিত করছিলেন। শিক্ষিকা এবং সে ব্যক্তিকে ইসলাম বিদ্বেষী কথা বলতে শুনা যায়।
জানা গেছে শিক্ষিকার নাম তৃপ্তি তেয়াগি। ভিডিওতে শুনা যায় শিক্ষিকা বলছেন, সব মুসলিম শিক্ষার্থীর চলে যাওয়া উচিত। তখন সে ব্যক্তি বলছিলেন, হ্যাঁ, এটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করছে। শিক্ষিকাকে আরো জোরে চড় দিতে উৎসাহ দিতেও শোনা যায়।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়িকা পপি এখন কোথায়?
সবার চড় খেয়ে শিশুটির মুখ ব্যাথা হয়ে যাওয়ায় শরীরের অন্য অঙ্গে মারার অনুরোধ করে সে। সাত বছর বয়সী সে শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ আলতমাশ।
শিশুর বাবা মোহাম্মদ ইরশাদ জানান, শুনেছেন পড়া মুখস্ত করতে না পারায় তার ছেলেকে একে একে থাপ্পড় দিতে বাকি শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষিকা।
ভিডিও প্রকাশের পর পুলিশ ব্যবহারকারীদের এটি ছড়িয়ে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। শিশুটির বাবা জানান, এই ঘটনা দেশে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা ছড়ানোর পরিণতি। শিক্ষিকা এই ঘটনায় ক্ষমা চাইলেও তিনি নিজের সন্তানকে আর এই স্কুলে রাখবেন না বলে জানান ইরশাদ।