প্লাস্টিকের ছোট ছোট অংশ প্রতিদিন আমাদের পেটে ঢুকছে। জানতেও পারছি না আমরা। গায়ে মাখার ক্রিম থেকে খাবার, প্লাস্টিক সর্বত্র। এমনকি মধুতেও প্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
মুখভর্তি প্লাস্টিক
৫ মিলিমিটারের চেয়েও ছোট প্লাস্টিকের অংশকে বলা হয় মাইক্রোপ্লাস্টিক। ছোট ছোট এই প্লাস্টিকের অংশ গিয়ে মিশছে সমুদ্রে। ঢুকে পড়ছে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য সামগ্রীতে। শুধু তাই নয়, বাতাসেও ছড়িয়ে রয়েছে মাইক্রোপ্লাস্টি। টুথপেস্ট থেকে ক্রিম, মাছ থেকে পানি সর্বত্র মাইক্রোপ্লাস্টি।
প্লাস্টিক দিয়ে মুখ ধোয়া
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো কোনো কসমেটিকে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। কখনো কখনো যার পরিমাণ প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের সমপরিমাণ বা তার চেয়ের বেশি। কিন্তু আপাত চোখে কসমেটিকে প্লাস্টিক দেখা যায় না। তা লুকিয়ে থাকে ক্রিম বা টুথপেস্টের মধ্যে। ব্যবহার করলে কিছু অংশ ঢুকে যায় দেহের ভেতর। বাকি অংশ চলে যায় ড্রেনে।
নিরাপদ নয় মধু
সম্প্রতি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জানিয়েছে, মধুতে প্রচুর মাইক্রোপ্লাস্টিক আছে। এ কারণে মধু নিষিদ্ধ করারও একটি পরিকল্পনা হয়েছে। কিন্তু মধুতে কীভাবে মাইক্রোপ্লাস্টিক মিশছে, সে বিষয়ে এখনো পরীক্ষানিরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়নি।