
চাল
রাজধানীর খুচরা বাজারে মিনিকেট চালের দাম কিছুটা কমলেও পেঁয়াজ ও মুরগির বাজারে এখনো চড়া দাম বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিনিকেট চালের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দাম কেজিতে দুই থেকে আট টাকা পর্যন্ত কমেছে। যেমন—মঞ্জুর ও সাগর ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের দাম গত সপ্তাহে ৯০ টাকা থাকলেও বর্তমানে তা ৮৫ টাকায় নেমেছে। ডায়মন্ড ব্র্যান্ডের দাম ৮৮ টাকা থেকে কমে ৮৫ টাকা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের, যা ১০০ টাকা থেকে কমে ৯২ টাকায় নেমেছে।
তবে মোটা চাল ও নাজিরশাইল, ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ ও স্বর্ণা জাতের চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। মানভেদে এসব চাল ৫৫ থেকে ৯৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। চাল বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বোরো মৌসুমে নতুন ধান বাজারে আসায় সরবরাহ বেড়েছে, তাই মিনিকেট চালের দাম কমেছে।
অন্যদিকে, পেঁয়াজের দাম এখনো চড়া। দেশি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাসে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।
মুরগির বাজারেও মূল্যবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ৩১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় যথাক্রমে ১০ ও ২০–৩০ টাকা বেশি। ফার্মের ডিমের দামও আগের মতোই বেশি—প্রতি ডজন ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা।
মাছ ও মাংসের দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৮০০ এবং খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাষের কই, রুই, তেলাপিয়া, পাঙাশ ও পাবদা মাছের দামও আগের মতোই রয়েছে।
সবজির বাজারেও ভোক্তারা চাপে। বেশির ভাগ সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও করলা, শজনে ও কাঁকরোলের মতো কিছু সবজি কেজিতে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আলুর দাম তুলনামূলকভাবে কম—২০ থেকে ২৫ টাকা। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
ভোক্তারা বলছেন, চালের দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি মিললেও সবজি ও প্রোটিন জাতীয় খাদ্যদ্রব্যের উচ্চমূল্য এখনও সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।