
ইন্টারনেট
বাংলাদেশে ইন্টারনেটের সরবরাহব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরে সম্প্রতি ব্যান্ডউইডথের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠান। এই উদ্যোগের ফলে গ্রাহকরা কতটা সুফল পাবেন, তা নির্ভর করছে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ওপর।
? ব্যান্ডউইডথের দাম কমানোর ঘোষণা
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) ২২ মার্চ ঘোষণা দেয়, তাদের সব ধরনের সেবার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ দাম কমবে। এছাড়া, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোম ও সামিট কমিউনিকেশনসও ব্যান্ডউইডথের দাম ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
? আইএসপিএবির ঘোষণা: ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস
আইএসপিদের সংগঠন আইএসপিএবি ১৯ এপ্রিল জানায়, তারা ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস (মেগাবিট পার সেকেন্ড) গতির ইন্টারনেট দেবে, যা আগে ছিল ৫ এমবিপিএস। তবে গতির অন্যান্য স্তরে তারা দাম কমানো বা গতি বাড়ানোর ঘোষণা দেয়নি।
⚠️ চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা
ইন্টারনেটের দাম কমানোর এই ঘোষণাগুলো বাস্তবায়নে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে:
-
রাজস্ব ভাগাভাগি: আইআইজিরা আইএসপিদের কাছে প্রতি এমবিপিএস এখন ২০০ টাকায় বিক্রি করে। কিন্তু এই দর ৩৬৫ টাকা ধরে রাজস্বের ১০ শতাংশ ভাগ নেয় বিটিআরসি।
-
বিভিন্ন স্তরের খরচ: ইন্টারনেটের দাম শুধু ব্যান্ডউইডথের ওপর নির্ভরশীল নয়; তরঙ্গ, টাওয়ার, ফাইবার, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন বিষয় যুক্ত।
-
মোবাইল অপারেটরদের ভূমিকা: মোবাইল অপারেটররা এখনও ইন্টারনেটের দাম কমানোর বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দেয়নি।
✅ সম্ভাব্য সুফল
যদিও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে ইন্টারনেটের দাম কমানোর এই উদ্যোগের ফলে গ্রাহকরা কিছু সুফল পেতে পারেন:
-
ব্রডব্যান্ড গ্রাহকদের জন্য: ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে, যা আগে ছিল ৫ এমবিপিএস।
-
ভবিষ্যতে উন্নতি: আইএসপিএবি আশ্বাস দিয়েছে, যদি সরকার নীতিগত সহায়তা দেয়, তাহলে খুব শিগগিরই ৫০০ টাকাতেই ২০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা প্রদান সম্ভব হবে।
ইন্টারনেটের দাম কমানোর এই উদ্যোগগুলি গ্রাহকদের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে, এই সুফল পুরোপুরি পেতে হলে নীতিগত সমন্বয়, রাজস্ব ভাগাভাগির হার কমানো এবং মোবাইল অপারেটরদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টায় ইন্টারনেট সেবার মান ও মূল্য আরও সাশ্রয়ী ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা করা যায়।