
মেজাজ
তুচ্ছ ঘটনায় কথা–কাটাকাটি তো বটেই, কখনো কখনো মারামারিও হয়ে যায়। অথচ মেজাজ ঠিক রাখতে পারলে জীবনটা অনেক বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠতে পারত। আপনার মেজাজ কে নষ্ট করবে, সেটি নির্ভর করে আপনার নিজের সিদ্ধান্তের ওপর। তাই অযথা খিটিমিটি এড়িয়ে, নিজের ভালো লাগার কাজে বেশি সময় দিলে জীবনের সৌন্দর্য আরও বেশি উপভোগ করা সম্ভব।
মেজাজ নিয়ন্ত্রণের কিছু কার্যকর কৌশল:
১. প্রতিক্রিয়া দেখানোর আগে সময় নিন
যতই খারাপ পরিস্থিতি আসুক, প্রতিক্রিয়া দেখানোর আগে সময় নিন। একবার ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন—সত্যিই কি প্রতিক্রিয়া জানানো দরকার? গভীর শ্বাস নিন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করুন। উত্তেজিত হয়ে তাৎক্ষণিক কিছু বলে ফেলার চেয়ে ধীরস্থির প্রতিক্রিয়া দেওয়া ভালো।
২. ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখুন
কোনো বিষয়ে রেগে গেলে সেটির ইতিবাচক দিক দেখার চেষ্টা করুন। কোনো অপমানজনক মন্তব্য শুনলে নিজেকে বোঝান—এই কথায় আপনার মূল্য কমে যাচ্ছে না। বরং মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতির সঠিক জবাব দেওয়া ভালো। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা রাখলে নিজের শান্তি বজায় থাকে।
৩. মনোযোগ অন্য দিকে সরিয়ে নিন
মেজাজ খারাপ হলে সঙ্গে সঙ্গে অন্য কিছুতে মনোযোগ দিন। অফিসে থাকলে টেবিল গোছান, কয়েক মিনিট হাঁটুন বা মৃদু সংগীত শুনুন। বাড়িতে থাকলে ঘরের কাজে মন দিন বা পছন্দের বই পড়ুন।
৪. পরিস্থিতি পর্যালোচনা করুন
মেজাজ হারিয়ে ফেললে পরে সেটি নিয়ে ভাবুন। কী কারণে রেগে গিয়েছিলেন? তখন কেমন অনুভূতি হয়েছিল? কীভাবে আরও ভালোভাবে সামলানো যেত? এসব বিশ্লেষণ করলে ভবিষ্যতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। চাইলে ‘রাগের জার্নাল’ লিখতে পারেন, যাতে নিজের অনুভূতি ও প্রতিক্রিয়ার ধরন বুঝতে সুবিধা হয়।
৫. আধ্যাত্মিক চর্চা ও শারীরিক ব্যায়াম করুন
আধ্যাত্মিক চিন্তা যেমন ধ্যান, প্রার্থনা বা আত্মনিয়ন্ত্রণের অনুশীলন আপনাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করবে। নিয়মিত ব্যায়ামও মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখার ভালো উপায়।
নিজের মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই জীবন হবে আরও সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ। অন্য কেউ আপনার মেজাজ নষ্ট করবে কি না, সেটি সম্পূর্ণ আপনার হাতে!