
হার্ট অ্যাটাক
বর্তমানে অনেক কম বয়সী মানুষও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এটি যেকোনো বয়সেই আকস্মিক মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমন মৃত্যু শুধু একজন ব্যক্তির প্রাণহানিই নয়, একটি পরিবারের স্বপ্নেরও সমাপ্তি ঘটায়। হার্ট অ্যাটাক মানেই হঠাৎ তীব্র বুকব্যথা—এ ধারণা অনেকের থাকলেও, প্রকৃতপক্ষে এর আরও বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা আগেভাগে বোঝা গেলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।
হার্ট অ্যাটাক কেন হয়?
হার্ট অ্যাটাক মূলত হৃদযন্ত্রের রক্তনালিতে ব্লক সৃষ্টি হওয়ার কারণে ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে চর্বি জমতে জমতে রক্তনালি সরু হয়ে গেলে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে হৃদপিণ্ড পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি তৈরি হয়।
হার্ট অ্যাটাকের আগাম লক্ষণ
✔ অল্পেই হাঁপিয়ে যাওয়া ও অস্বাভাবিক ক্লান্তি
সামান্য কাজেই যদি আপনি খুব ক্লান্ত অনুভব করেন বা হাঁপিয়ে ওঠেন, তবে এটি হৃদরোগের ইঙ্গিত হতে পারে।
✔ মাথা হালকা হয়ে আসা ও ঠান্ডা ঘাম
হঠাৎ দুর্বল লাগা, মাথা হালকা হয়ে যাওয়া কিংবা কারণ ছাড়াই ঠান্ডা ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস হতে পারে।
✔ বুকে চাপ বা ব্যথা
বুকের মাঝখানে চাপ অনুভব করা, ভারী কিছু চেপে বসার মতো অনুভূতি কিংবা ব্যথা হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অনেকেই একে গ্যাসের ব্যথা মনে করে এড়িয়ে যান, যা বিপজ্জনক হতে পারে।
✔ অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন ও বুক ধড়ফড়
বুক ধড়ফড় করা, হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক ছন্দের পরিবর্তন হওয়া কিংবা সামান্য পরিশ্রমেই অতিরিক্ত হৃদস্পন্দন অনুভব করা হার্টের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
✔ অন্যান্য শারীরিক ব্যথা
বিনা কারণে পিঠ, ঘাড়, কাঁধ, বাহু বা ওপরের পেটে ব্যথা হলে তা হৃদরোগের সংকেত হতে পারে।
করণীয়
এই লক্ষণগুলোর যে কোনোটি দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নিলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। তাই সুস্থ থাকতে সচেতন হোন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান এবং হৃদযন্ত্রের যত্ন নিন।