ঢাকা,  শুক্রবার
০৯ মে ২০২৫

Advertisement
Advertisement

মাছের মাথা কেন খাবেন

প্রকাশিত: ১৫:৫৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মাছের মাথা কেন খাবেন

আপনি নিশ্চয়ই জানেন মাছ কতটা পুষ্টিকর। কেউ কেউ মাছ খেয়ে মাথা ফেলে দেন। কিন্তু অনেকের হয়তো জানেই না মাছের তুলনায় মাছের মাথা কতটা পুষ্টিকর। মাছের মাথা অনেক ভিটামিন, খনিজ এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ । কেউ কেউ মাছের মাথা খুব সুস্বাদু বলে মনে করেন।

স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট  ‘অনলিমাইহেলথএর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মাছের মাথা খাওয়ার নানা উপকারিতার কথা।

চলুন জেনে নেয়া যাক মাছের মাথা খেলে যেসব উপকার পাওয়া  যায়-

স্বাস্থ্যকর প্রোটিন: মাছের মাথা স্বাস্থ্যকর প্রোটিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস। অন্যান্য মাংসজাত খাবারের তুলনায় মাছের মাথায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে। মাথা খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে না। আর আপনি যদি মাংসের পরিবর্তে মাছ খান, তাহলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি অনেক কমে।

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস : মাছের মাথায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার শরীরের কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগ, স্ট্রোক, অনিয়মিত হার্টবিটের মতো হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

চোখ এবং মস্তিষ্কের জন্য উপকারী: মাছের মাথা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ একটি খাবার। তাই এটি চোখের পাশাপাশি মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির বাড়ায় এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে।

আরও পড়ুন: আক্কেল দাঁত তুলে ফেলবেন নাকি রাখবেন?

বিষণ্নতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য: ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ডিএইচএ রয়েছে এমন খাবার যা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে এবং মানসিক অসুস্থতা যেমন স্ট্রেস, বিষণ্নতা থেকে রক্ষা করে। যেহেতু ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে তৈরি করা যায় না, তাই ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এমন খাবার খাওয়া দরকার। মাছের মাথায় প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।

ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিস: মাছের মাথায় থাকা অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। মাছের মাথা খেলে বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধির পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। এ ছাড়া মাছের মাথা খাওয়া অটোইমিউন রোগের ঝুঁকিও কমায়।

Advertisement
Advertisement

আরো পড়ুন  


Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/dikdorshon/public_html/details.php on line 531