অনেকে মনে করেন স্মার্টফোনে ভালো তুলতে হলে যত দামী সেট হবে ছবি তত ভালো হবে। আসলেই কী এই ধারণা ঠিক? কিন্তু কিছু কৌশল ঘাটালে কম দামের ফোনেও ভালো মানের ছবি তোলা যায়। সাধারণ মানের ফোন দিয়ে ভালো ছবি তোলার পদ্ধতিগুলো দেখে নেওয়া যাক
ক্যামেরা লেন্স পরিষ্কার
সাধারণত ফোন ব্যবহারকারীরা ক্যামেরার লেন্স নিয়মিত পরিষ্কার করেন না। এজন্য প্রতিদিন ময়লা বা ধুলা জমে ক্যামেরার লেন্স সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, ছবিও ঝাপসা দেখায়। এ জন্য ফোন সেট যাই হোজ না কেন নিয়মিত ফোনের ক্যামেরার লেন্স পরিষ্কার করতে হবে।
ফোকাস ও এক্সপোজারের উপযুক্ত ব্যবহার
যদি অটো ফোকাস-সুবিধা ব্যবহার করে ছবি তোলা হয়, তাহলে উজ্জ্বল আলোর স্থানকে ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফোকাস করে। এতে অনেক সময় ছবির মূল বিষয়বস্তু ভালোভাবে দেখা যায় না। তাই নির্দিষ্ট জায়গায় ফোকাস নির্ধারণ করতে হবে। পর্যাপ্ত আলো না থাকলে ক্যামেরার এক্সপোজার ব্যবহার করতে হবে। সেন্সর লাইট যত উন্মুক্ত করা হবে, ছবি তত বেশি উজ্জ্বল হবে।
প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার
ছবি ভালো তোলা যায় প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করে। কারণ, ফ্ল্যাশলাইট শুধু ছবির নির্দিষ্ট স্থানকে বেশি ফোকাস করে। প্রাকৃতিক আলো ব্যবহারে সূর্যোদয়ের পরের এবং সূর্যাস্তের আগের ৩০ মিনিট সময়কে কাজে লাগানো যেতে পারে। এ সময়কে ছবি তোলার গোল্ডেন আওয়ার বলা হয়।
জুম ব্যবহার না করা
ছবি তোলার সময় সামনে থেকে ক্যামেরার জুম সুবিধা ব্যবহার না করাই ভালো। এতে ছবির গুণগত মান নষ্ট হয়। সমস্যা সমাধানে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুর কাছাকাছি গিয়ে ছবি তুলতে হবে।
গ্রিড লাইন ব্যবহার
ছবির উপযুক্ত ফ্রেম ব্যবহারের জন্য গ্রিড লাইন ব্যবহার করতে হবে। গ্রিড লাইনে অনুভূমিক এবং উল্লম্ব রেখার সামঞ্জস্য থাকে।
সম্পাদনা অ্যাপ ব্যবহার
অ্যাপ ব্যবহার করে ভালোভাবে ছবি এডিট করা যায়। তাই ছবি তোলার পর অ্যাপের মাধ্যমে ছবির ফ্রেম, আলো, অনুপাত ইত্যাদি পরিবর্তন করার পাশাপাশি বিভিন্ন ফিল্টার ব্যবহার করা যেতে পারে।
ছবির অনুপাত
ছবি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাতের ওপর নির্ভর করে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফোনের ক্যামেরায় ১৬:৯ বা ৯:১৬ কাঠামো ঠিক করা থাকে। এ অনুপাত সাধারণত ভিডিওর জন্য ভালো। তবে মোবাইল ফটোগ্রাফির জন্য দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ৪:৩ বা ৩:৪ কাঠামো ব্যবহার করতে হবে।