ঢাকা,  শুক্রবার
০২ জুন ২০২৩

Advertisement

আজ রাত জাগা দিবস

প্রকাশিত: ১৮:৩৪, ১৩ মে ২০২৩

আজ রাত জাগা দিবস

রাত জাগা দিবস

শুধুমাত্র প্রেমের বেদনা নিয়েই যে মানুষ রাত জাগে, এমনটা কিন্তু নয়। প্রেমের সুখ পোহাতেও অনেকে রাত জাগেন। কেউ কাজের চাপে, কেউ পড়াশোনা, আবার কেউ কারো জন্য রাত জাগেন। যারা চিকিৎসাসেবার সঙ্গে জড়িত, তাদের পেশার প্রয়োজনেই রাত জাগতে হয়।  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সংবাদ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কিংবা কল সেন্টারের কর্মীদেরও রাত জাগতে হয়। সারা রাত মাছ ধরে সকালে জেলেরা ঘরে ফেরেন। নৈশপ্রহরী রাত জেগে পাহারা দেন বলেই আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাই।

এভাবে রাত জাগতে জাগতে কারও কারও অভ্যাস হয়ে যায়। কেউ আবার শখেও রাত জাগেন।  কোনো কাজ নেই, রাত জেগে হয়তো জ্যোৎস্না দেখেন। কীভাবে অন্ধকার কেটে কেটে ভোরের আলো ঢুকে যায় রাত্রির শরীরেতা-ই দেখেন হয়তো। ফেসবুক, ইউটিউব, সিনেমা, গানএসব ঘাঁটাঘাঁটি করেও গোটা রাত কাটিয়ে দেন অনেকে।

পৃথিবী ঘুমিয়ে গেলে কবি কবিতার খাতা খুলে বসেন। ক্যানভাসের গায়ে আঁচড়ের পর আঁচড় দিয়ে থাকেন শিল্পী। সুরকার বেঁধে ফেলেন কালজয়ী কোনো সুর। নানা স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্নের স্মৃতি হয়ে থাকে রাত। সেই রাতকে স্মরণীয় রাখতে বছরে অন্তত একদিন বিশেষভাবে পালনের প্রচালন আছে। রাতের সৌন্দর্য আর মাদকতা উপভোগ করার জন্য প্রতি বছরের মে মাসের দ্বিতীয় শনিবার পালন করা হয় সারা রাত জাগা দিবস। সে হিসেবে শনিবার, ১৩ মে সারা রাত জাগা দিবস।

রাত জাগা দিবস, আমেরিকায় পালিত হয়। সৃষ্টির গোড়া থেকেই তো রাত জাগে মানুষ, কিন্তু আয়োজন করে পালন করে না। রাতের প্যাঁচা যারা, সেসব নিশাচর মানুষের জন্যই আজকের দিনটি। তবে পালন করতে পারেন অন্যরাও। রাত্রির কিন্তু এক অদ্ভুত মাদকতা আছে, আছে সম্পূর্ণ ভিন্নতর এক রূপ। রাতের নিস্তব্ধতায় বাক্সবন্দী আবেগগুলো যেমন বাইরে বেরিয়ে আসে, তেমনই প্রকৃতিও খুলে বসে রহস্যের পসরা। তবে আর কী, আজ তাহলে রাত জাগা হোক।

Advertisement
Advertisement