ঢাকা,  সোমবার
২৯ এপ্রিল ২০২৪

Advertisement
Advertisement

শিগগিরই আকাশে উড়বে বিশ্বের প্রথম ৫ সিটের ট্যাক্সি!

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শিগগিরই আকাশে উড়বে বিশ্বের প্রথম ৫ সিটের ট্যাক্সি!

যত দিন পার হচ্ছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রযুক্তি আরও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আধুনিকতার এই যুগে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নানা উদ্ভাবন দিয়ে আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলছে। সেই ধারাবাহিতায় বিজায় রেখে এবার এমন ট্যাক্সি আসছে যা উড়তে সক্ষম। জার্মানির একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান এমন ট্যাক্সি প্রস্তুত করছে। এ ট্যাক্সিতে আসন সংখ্যা ৫টি। এ ধরনের ট্যাক্সি এটাই বিশ্বে প্রথম।

জার্মান এই প্রতিষ্ঠানটির নাম লিলিয়াম এবং এই কোম্পানি মূলত এয়ার ট্যাক্সি নিয়ে কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, গত মে মাসের প্রথম দিক থেকে তারা স্বয়ংক্রিয় ভাবে উড়তে পারবে এমন ট্যাক্সি নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এটি সফলভাবে উড়তে সক্ষম হয় এবং কিছুক্ষণ আকাশে ভেসে থাকার পর নিরাপদ ভাবে অবতরণ করে।

লিলিয়াম জানায়,  স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড়তে সক্ষম এই ট্যাক্সি। এতে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যতিক্রমী এই ট্যাক্সিতে পাঁচটি আসন থাকবে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ পাঁচজন এতে যাত্রী হিসেবে উঠতে পারবেন। এটা ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম।

নিজেদের এই উদ্ভাবন সম্পর্কে লিলিয়ামের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ড্যানিয়েল উগেন্ড বলেন, এই এয়ার ট্যাক্সিটিতে ৩৬টি ইলেকট্রিক মোটর ব্যবহার করা হয়েছে। মূলত এগুলোর সাহায্যেই এটি উড্ডয়ন ও অবতরণ করে। একবার চার্জে ট্যাক্সিটি ৩০০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম।  বড় পরিসরে এই ট্যাক্সি উৎপাদনের কাজ তারা ২০২০ সালের মধ্যেই শুরু করবে।

আগামী বছরের মাঝামাঝি প্যারিসে অলিম্পিক প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগেই তিনি সেখানে নিয়মিত এয়ার ট্যাক্সি পরিষেবা চালু করার উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন। পাইলটরা নিয়মিত মাশুলের বিনিময়ে যাত্রীদের নিয়ে উড়বেন।

ভোলোকপ্টার কোম্পানির কর্ণধার ডিয়র্ক হোকে বলেন, ‘আমরা প্যারিসে শুরু করে ২০২৪ সালে রোমে যাব। বছরের শেষের মধ্যে সম্ভবত সিঙ্গাপুরেও পরিষেবা শুরু করব। ২০২৫ সালের শুরুতে আমরা আন্তর্জাতিক স্তরে আরও সক্রিয় হব। সৌদি আরবের নিওম এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে জাপানের ওসাকা শহরে ওয়ার্ল্ড এক্সপোর সময়ও পরিষেবা দেব।’

ভোলেকপ্টার গোটা বিশ্বেই নিজস্ব কনসেপ্ট তুলে ধরতে চায়। সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্ক সত্ত্বেও ‘ফিউচার সিটি' প্রকল্প হিসেবে নিওমে সক্রিয় হতেও পিছপা হচ্ছে না এই কোম্পানি।

ব্রুখসালে নতুন একটি কারখানা ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। সেখানেই ‘ভোলোসিটি'-র অংশগুলি বড় আকারে উৎপাদন করা হবে। কোম্পানির মতে, বিশাল চাহিদা দেখা যাবে।

Advertisement
Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_05/p1kq0rsou/public_html/details.php on line 531