
মারাঠি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নায়িকা ছিলেন দাদি উষা কিরণ। দুই খালা তানভি আজমি ও শাবানা আজমিও চিত্রনায়িকা। চলচ্চিত্র জগতের একজন হয়ে তারা কোনও কাজেই লাগেনি সায়ামি খেরকের। বরং দাদি ও দুই খালা নায়িকা থাকায় সংগ্রামটা ছিল বেশি সায়ামির।
৩০ বছর বয়সী অভিনেত্রী সায়ামির সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।
‘চলচ্চিত্র পরিবারের মানুষ হওয়াটা বরং আমার বিপক্ষেই গেছে। কারণ, অভিনয়ে আসার সিদ্ধান্ত আমার, নিজে নিজেই অডিশন দিতাম। তবে শাবানা (আজমি) খালার কাছে হিন্দি উচ্চারণসহ নানা বিষয়ে পরামর্শ চাইতাম। কাজ পেয়েছি নিজের যোগ্যতায়,’ স্বজনপ্রীতির বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করতেই এভাবে সটান জবাব দেন সায়ামি।
রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার মির্জা দিয়ে তাঁর হিন্দি অভিষেক হয়, আর অনুরাগ কাশ্যপের চোকড দিয়ে পান পরিচিতি। ১৯ মে মুক্তি পাওয়া সায়ামির নতুন ছবি ৮ এ.এম. মেট্রোতে অভিনয়ের সুযোগও এসেছে অনুরাগের হাত ধরেই।
এ প্রসঙ্গে নায়িকা বলেন, ‘অনুরাগই আমাকে রাজের (ছবির পরিচালক রাজ আর) সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। রাজ আগে অনুরাগের সঙ্গে কাজ করতেন। এরপর রাজি হয়ে যাই। আমার এ পর্যন্ত ক্যারিয়ারে অনুরাগের বড় অবদান আছে।’
সাক্ষাৎকারে নিজের খারাপ সময় নিয়েও কথা বলেন সায়ামি। তিনি জানান, প্রথম ছবি মির্জার বাণিজ্যিক ব্যর্থতা কীভাবে সামলেছেন তিনি, ‘অনেক প্রত্যাশা ছিল, রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার ছবি, ১৮ বছর পর গুলজার-শঙ্কর এহসান লয় জুটির গান, অনিল কাপুরের ছেলে হর্ষবর্ধন কাপুরের অভিষেক; কিন্তু ছবি বক্স অফিসে কেমন করবে, সেটি তো আপনার হাতে নেই। ছবিটির পর সময়টা ভালো যায়নি, এই ব্যর্থতার পরও অনুরাগ আমাকে সুযোগ দেন। সে জন্যই তাঁকে এতটা শ্রদ্ধা করি। তিনি আমাকে বলেন, ‘তোমার মধ্যে অনেক সম্ভাবনা আছে।’
৮ এ.এম. মেট্রোতে সায়ামির সঙ্গে আছেন গুলশান দেবাইয়া। এই জুটিকে আগে অ্যানথোলজি সিরিজ আনপজড-এ দেখা গিয়েছিল।
অন্যতম প্রিয় অভিনেতার সঙ্গে আবারও কাজের সুযোগ পেয়ে খুশি অভিনেত্রী। ড্রামা ঘরানার ছবিটিতে সায়ামি সাধারণ এক গৃহবধূ। এ ধরনের চরিত্র সেভাবে করেননি বলে ছবিটি করতে রাজি হন চরিত্র নিয়ে প্রচণ্ড খুঁতখুঁতে সায়ামি।