
ছয় বছর পর যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সান ফ্রান্সিসকোয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এরপর তিনি যোগ দেবেন এশিয়া প্যাসিফিক ইকনমিক কোঅপারেশন ফোরামের বৈঠকে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক এখন খুব ভালো যাচ্ছে না। দুই দেশের মধ্যে সংঘাত ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন, বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ভয়ংকর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এই দুই পরাশক্তি।
শি সান ফ্রান্সিসকোতে নামার ঘণ্টা দুয়েক আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন এশিয়া প্যাসিফিক ইকনমিক কোঅপারেশনের বৈঠকে বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনীতির ক্ষেত্রে নিজেদের পথে হাঁটার অধিকার আছে। এই অঞ্চলে পণ্য এবং মানুষের স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার আছে।
ব্লিংকেন চীনের নাম উল্লেখ করেননি। কিন্তু তার কথার মধ্যে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি আবারও জানিয়ে দিলেন। যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছুদিন ধরে বলে আসছিল যে, এই অঞ্চলের ছোট দেশগুলির উপর চীন দাদাগিরি করার চেষ্টা করছে।
তবে এর আগে বাইডেন জানিয়েছিলেন, তিনি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে চান। দুই দেশের মধ্যে সেনাসহ সব পর্যায়ে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, বাইডেন ও শি-র মধ্যে আলোচনায় ইয়রায়েল-হামাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন প্রসঙ্গ আসতে পারে। দুইটি ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব স্পষ্ট করবেন বাইডেন।