ঢাকা,  সোমবার
২৯ এপ্রিল ২০২৪

Advertisement
Advertisement

জীবনঘাতী ব্যাধি নিয়েও খেলে জয় করেছেন যারা

প্রকাশিত: ২০:১৭, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

জীবনঘাতী ব্যাধি নিয়েও খেলে জয় করেছেন যারা

কিছুদিন আগে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য জানা যায়। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ক্যামেরন গ্রিন জন্মের পর থেকেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। তার জন্মের পরপরই ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, মাত্র ১২ বছর বেঁচে থাকবে এই শিশু। অথচ মৃত্যুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২৪ বছর বয়সে এখনো পুরোদমে ক্রিকেট খেলে চলেছেন গ্রিন। উঁচিয়ে ধরেছেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও বিশ্বকাপ ট্রফি। গ্রিনই প্রথম নন, এমন আরও খেলোয়াড় রয়েছেন, যারা জীবনঘাতী রোগ উপেক্ষা করে খেলে যাচ্ছেন এবং জয় করেছেন প্রতিকূলতা।

ক্যানসারজয়ী ক্রিকেটারের নাম আসলে প্রথমেই যুবরাজ সিংয়ের মুখ সামনে আসবে। ২০১১ বিশ্বকাপ জিতে যুবরাজ যখন ভারতের ১২০ কোটি মানুষের নায়ক, তখনই দুঃস্বপ্ন নেমে আসে তার জীবনে। ২০১২ সালে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হন যুবরাজ। ফুসফুসে তৈরি হওয়া টিউমার থেকে হয় ক্যানসার। বেশ কিছু থেরাপির পর অবশেষে ২০১৩ সালে ক্যানসার জয় করেন যুবরাজ। জাতীয় দল ও আইপিএলে এরপরও বেশ কিছু বছর দেখা গিয়েছে তাকে।

মাইকেল ক্লার্ক

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কও ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। ২০০৬ সালে ক্লার্ক যখন আস্তে আস্তে নিজেকে অস্ট্রেলিয়া দলে থিতু করে নিচ্ছেন, তখনই দুঃসংবাদ আসে তার জীবনে। ক্যানসার আক্রান্তের খবর শুনে ক্রিকেটকে সাময়িক সময়ের জন্য বিদায় বলেন ক্লার্ক। ২০০৭ সালে আবারও ক্রিকেটে ফেরত আসেন তিনি। যদিও সময়সময় স্কিন ক্যানসার হানা দিয়েছে ক্লার্কের জীবনে। তবে তা তাকে আটকাতে পারেনি বিশ্বজয় থেকে।

ম্যাথু ওয়েড

অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডও ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। সেটাও ক্রিকেটে পা দেওয়ার আগেই। ১৬ বছর বয়সে টেস্টিকুলার ক্যানসার ধরা পড়ে ওয়েডের। কয়েক বছর লড়াই করার পর অবশেষে ক্যানসার থেকে মুক্তি মেলে। ক্যারিয়ারের বিশাল একটা সময় অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষকের জায়গা নিয়ে লড়াই করে অবশেষে শেষ বয়সে এসে টি-টোয়েন্টি দলে থিতু হয়েছেন ওয়েড। পেয়েছেন অধিনায়কের দায়িত্বও। সহ-অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাও।

এরিক আবিদাল

ফ্রান্স ও বার্সেলোনার অবিচ্ছেদ্য অংশ তখন আবিদাল। কিন্তু তার জীবনেও  দুঃসংবাদ নিয়ে আসেন ডাক্তাররা। ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। বেশ বাজেভাবে ছড়িয়ে পড়া ক্যানসার দূর করতে প্রায় এক বছর খেলার বাইরে ছিলেন আবিদাল। অবশেষে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের পর ২০১৩ সালে আবারও ফুটবলে ফেরত আসেন তিনি।

ডেভিড বেকহাম

বেকহাম যে খেলার লোক ছিলেন, তাতে প্রথমেই বাতিলের খাতায় ফেলে দিতে হয় সেই রোগীদের। মাত্র ১২ বছর বয়সে অ্যাজমায় আক্রান্ত হন।  ডাক্তারের পরামর্শ ছিল লম্বা সময় ধরে দৌড়াদৌড়ি করা, খেলাধুলা করা থেকে দূরে থাকার। কিন্তু ফুটবল যার রক্তে, তাকে কি আর আটকে রাখা সম্ভব? বেকহাম এই অ্যাজমা নিয়েই মাঠ কাঁপিয়েছেন। ফুটবল চালিয়ে গিয়েছেন আপন গতিতে।

 

Advertisement
Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_05/p1kq0rsou/public_html/details.php on line 531