দেশের প্রচলিত আইন মেনেই গ্রামীণ টেলিকম ভবনের সাতটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদ। এসব প্রতিষ্ঠানে নোবেল পুরস্কারজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কোনো মালিকানা বা শেয়ার নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল মজিদ এসব কথা বলেন। এর আগে ড. ইউনূস বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, তাদের আটটি প্রতিষ্ঠান জবরদখল করেছে গ্রামীণ ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠান তিনি ব্যবসার মুনাফা দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস মানি লন্ডারিং করেছেন এমন প্রমাণ হাতে রয়েছে বলে দাবি করেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ ফান্ড এসব প্রতিষ্ঠান গড়তে গিয়ে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা সরিয়েছেন। গত সাত মাস নিরীক্ষা (অডিট) করে তারা এসব তথ্য পেয়েছেন। ব্যবসার মুনাফা দিয়ে গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণসহ অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠান করেননি বলেও দাবি করেন তিনি।
গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাইফুল মজিদ বলেন, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকম এসব প্রতিষ্ঠান নব্বইয়ের দশকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের অনেক আর্থিক তথ্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক তথ্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তথ্য ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।